
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, 'নৈতিক স্খলনের' কারণে একজন কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ করা যেতে পারে। এর অর্থ হল, ১৯৭২ সালের পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে গ্র্যাচুইটি বন্ধ করার জন্য ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আর প্রয়োজন নেই। এমনই তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে 'দ্য ইকোনমিক টাইমস'।
এর আগে, ২০১৮ সালে ভারত সরকার বনাম অজয় বাবু মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, কোনও কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ বা দিতে অস্বীকার করার আগে নিয়োগকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর 'নৈতিক স্খলনের' অধীনে অসদাচরণ প্রমাণ করতে হবে। তবে, সর্বশেষ রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, যদি কোনও নিয়োগকর্তা জালিয়াতি-সহ নানা অন্য়ায্য ও অনৈতিকতার কারণে কোনও কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ করেন, তাহলে আদালতের রায়ের অপেক্ষার দরকার নেই।
উল্লেখিত মামলাটি একজন পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (PSU) সংস্থার কর্মচারীর সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই কর্মচারীর জন্ম ১৯৫৩ সালে হলেও সে চাকরির নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে জানিয়েছিল যে, তাঁর জন্ম হয়েচে ১৯৬০ সালে। তিনি প্রায় ২২ বছর ধরে PSU-তে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বেনিয়ম ধরা পরতেই, PSU-এর শৃঙ্খলা কমিটি নৈতিক স্খলনের কারণ দেখিয়ে ওই কর্মচারীকে চাকরি বরখাস্ত করে এবং গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করে।
সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছে?
সুপ্রিম কোর্ট PSU-এর সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে এবং রায়ে বলেছে যে, ওই মামলায়, এটি প্রমাণিত হয়েছে যে আবেদনকারী তাঁর প্রকৃত জন্ম তারিখ গোপন করেছেন। নিয়োগের উদ্দেশ্যে তিনি জাল শংসাপত্র তৈরি করেছিল। ফলে বিষয়টি প্রমাণিত অসদাচরণ ও নৈতিক স্খলনের সঙ্গে জড়িত একটি অপরা হিসাবে গণ্য হয়। ফলে ওই ব্যক্তির গ্রাচুইটি বন্ধ করে PSU কোনও ভুল করেনি। এক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলায় ওই ব্যক্তির দোষী সাব্যস্ত হওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই।
তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অভিযুক্ত কর্মী বা কর্মীদের যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে,
"অবশ্যই, চাকরিচ্যুত কর্মচারীর কাছে একটি নোটিশ জারি করা উচিত। তাঁর ব্যাখ্যা শোনা ও খতিয়ে দেকা প্রয়োজন।"
গ্র্যাচুইটি কী, কত বছর কাজ করলে পাবেন?
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন ফান্ড ছাড়াও অন্য একটি ফান্ড থেকে অর্থ হাতে আসে, যাকে গ্র্যাচুইটি বলা হয়। যাঁরা কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে একটি সংস্থায় কাজ করেছেন তাঁদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। গ্র্যাচুইটি আসলে একটি উপহার, যা আপনার নিয়োগকর্তা আপনার বহু বছরের পরিষেবার বিনিময়ে আপনার চাকরি ছাড়ার সময় দেন। গ্র্যাচুইটি হল একটি বেনিফিট প্ল্যান, যা অবসরকালীন সুবিধার একটি অংশ এবং নিয়োগকর্তা পরিষেবা ছেড়ে দেওয়ার বা সম্পূর্ণ করার সময় কর্মচারীকে দেন। চাকরি ছাড়ার বা অবসর নেওয়ার আগে ৪ বছর ১০ মাস এবং ১১ দিন ধরে একটানা কাজ করেছেন এমন প্রত্যেক কর্মচারীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এক বা দুই বছরের মধ্যে চাকরি ছাড়লে গ্র্যাচুইটি মেলে না।
ডিজিটাল সোনা কিনলে অতিরিক্ত মুনাফা, জানুন কী কী লাভ? কিনার পদ্ধতি...
এপ্রিল মাসে জিএসটি আদায়ে নতুন রেকর্ড, কোন রাজ্যে কত শতাংশ জেনে নিন এখনই
ইউপিআই লেনদেন এবার আরও সহজ, ১৬ জুন থেকে কী বদল? জেনে নিন
৫০ বছর বয়সেই নিতে পারেন অবসর, কোথায় বিনিয়োগ করবেন দেখে নিন এখনই
সুদের হারে বড় বদল, ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের আগে দেখে নিন নতুন হিসেব
আরও সোনা মজুত করছে আরবিআই, কারণ জানলে আকাশ থেকে পড়বেন
‘শিগগিরই আসছি তোমার কাছে…’ ইরফানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবিলের হৃদয়মথিত কবিতা, পড়ে চোখ ভিজল নেটপাড়ার
ফের কর্মী ছাঁটাই করল ইনফোসিস, কী কারণ দেখাল এই প্রতিষ্ঠান
সোনার দাম আর বাড়বে না! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা